1. news@sangjogprotidin.online : ADMIN : ADMIN ADMIN
  2. info@www.sangjogprotidin.online : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ১২:০৯ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "সংযোগ প্রতিদিন" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

সুন্দরবনে বেড়েছে ‘বাঘের খাদ্য’ হরিণসহ ৫ প্রাণী

  • প্রকাশিত: বুধবার, ২১ মে, ২০২৫

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সুন্দরবনে ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী থাকলে হরিণ, বানর, শূকর, সজারু ও গুঁইসাপ বাঘের খাদ্য হিসেবে বিবেচিত। আর চলমান ক্যামেরা ট্রাকিং জরিপের প্রাথমিক তথ্য বলছে, এখানে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে বেড়েছে হরিণসহ ৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী। এগুলো হলো- হরিণ, বানর, শূকর, সজারু ও গুঁইসাপ। এসব প্রাণী রয়েল বেঙ্গল টাইগারের খাদ্য হিসেবে বিবেচিত।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দ্য কনজারভেশন অফ নেচারের (আইইউসিএন) সার্বিক সহযোগিতায় পরিচালিত এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
এছাড়া চলমান ক্যামেরা ট্রাকিং জরিপের প্রাথমিক তথ্য বিশ্লেষণ করে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধিরও তথ্য মিলছে। আগামী ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবসে সুন্দরবনে বাঘের সঠিক সংখ্যা জানা যাবে।
সুন্দরবন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জোয়ারের সময় সমুদ্রের লোনা পানিতে প্লাবিত জীববৈচিত্র্যে ভরপুর সুন্দরবনে ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী রয়েছে। তবে এগুলোর মধ্যে বাঘের খাদ্য হিসেবে বিবেচিত প্রাণী মাত্র পাঁচটি- হরিণ, বানর, বন্য শূকর, গুঁইসাপ ও সজারু।
সুন্দরবনে বাঘের খাদ্য তালিকায় রয়েছে বন্যশূকরও।
গোটা সুন্দরবনে ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আইইউসিএন-এর সার্বিক সহযোগিতায় বাঘের খাদ্য এই পাঁচ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর ওপর জরিপ চালানো হয়।
সম্প্রতি প্রকাশিত জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, সুন্দরবনে ২০০৪ সালে চিত্রল ও মায়া হরিণের সংখ্যা জরিপ করা হয়েছিল ৮৩ হাজার। তা বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬০৪টি। এছাড়া বানর ৫১ হাজার থেকে বেড়ে ১ লাখ ৫২ হাজার ৪৪৪টি এবং বন্য শূকর ২৮ হাজার থেকে বেড়ে ৪৭ হাজার ৫১৫টিতে দাঁড়িয়েছে।
সুন্দরবনে এবারই প্রথম জরিপে অন্তর্ভুক্ত হওয়া গুঁইসাপ রয়েছে ২৫ হাজার ১২৪টি এবং সজারু ১২ হাজার ২৪১টি।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দে জানান, সুন্দরবনে বাঘের পর্যাপ্ত প্রাণিখাদ্য রয়েছে। বিশ্ব ঐতিহ্য এই ম্যানগ্রোভ বন দস্যুমুক্ত হওয়া, স্মার্ট পেট্রলিংসহ বন বিভাগ, র‌্যাব, কোস্টগার্ডের কঠোর নজরদারির কারণে হরিণসহ বন্যপ্রাণী শিকার অনেক কমে এসেছে।
পাশাপাশি সুন্দরবনে অভয়ারণ্যের আয়তন বাড়িয়ে ৫১ ভাগ করায় অনুকূল পরিবেশে বাঘের খাদ্য হরিণ, বানর ও শূকরের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এবারই প্রথম জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা গুঁইসাপ এবং সজারুর সংখ্যাও জানা গেছে।
বাঘের খাদ্য পাঁচ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর জরিপে দেখা গেছে, সুন্দরবনে এখন সব মিলিয়ে এসব বন্যপ্রাণী রয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৯২৮টি। জার্মানির কেএফডব্লিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় আইইউসিএনের সহযোগিতায় পরিচালিত সাম্প্রতিক জরিপ রিপোর্টে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
মিহির কুমার আরও জানান, আবাসস্থলসহ সুন্দরবনের বাঘ সুরক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সে সুবাদে চলমান ক্যামেরা ট্রাকিং জরিপে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধির তথ্য মিলছে। আগামী ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবসে সুন্দরবনে জরিপ কাজ শেষ হবে। তখন সুন্দরবনে বাঘের সঠিক সংখ্যা জানা সম্ভব হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সংযোগ প্রতিদিন
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট