লোহাগড়া : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের কালিগঞ্জ বাজারের ব্যাবসায়ী পাড়ায় জমিজমা নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা সত্বেও জোর পূর্বক জমি জবর দখল করে ব্যবসায়িক ভবন নির্মাণের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী পরিবার মামলা করেও প্রতিকার না পেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে প্রতিকার পাওয়ার আশায়। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী মো. আইয়ুব বিশ্বাস আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
এলাকাবাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের কালিগঞ্জ বাজার সংলগ্ন (ব্যবসায়ী পাড়ায়) অবস্থিত জে এল নং-১৯ লাহুড়িয়া মৌজার এস এ খতিয়ান নং-৬৫৫৫,আর এস নং-১৯৬৯,১৯৭১, এবং ৫৭৮২ নং দাগের ৫৭ শতাংশেরর মধ্যে ০২ শতাংশ যার আর এস ১১৪১৮ নং দাগে জমি ০৮ শতাংশের মধ্যে ০২ শতাংশ জমি ঐ গ্রামের গরীব দিনমজুর মো. আইয়ুব বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে ২ শতাংশ জমি স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ভোগ দখল করে আসছেন।
কিন্তু পাশ্ববর্তী জমির মালিক ভুমিদস্যু মো. লুৎফর বিশ্বাস তার ৬ শতাংশ জমির সঙ্গে আইয়ুব বিশ্বাসের ২ শতাংশ জমি জোর পূর্বক জবর দখল করে বড় ভবন নির্মাণ করছেন।
ভুক্তভোগী দিনমজুর মোঃ আইয়ুব বিশ্বাস বাঁধা দিলে তার পরিবারের মহিলাদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন ও পুরুষ সদস্যরা মারধোরের শিকার হয়েছেন।
ভূমি দস্যু মোঃ লুৎফার বিশ্বাস অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় দুর্বৃত্তদের ম্যানেজ করে ভবন নির্মাণ করছেন।
ভুক্তভুগী আইয়ুব বিশ্বাস উপায়ন্তর না পেয়ে স্থানীয় লাহুড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ি, লোহাগড়া থানা, লোহাগড়া আর্মি ক্যাম্প ও সর্বশেষ বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন মামলা নং ১৯৪/২৫। এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালত কমিশন নিয়োগ করে আদেশ প্রদান করে আগামী ১০ এপ্রিল ইং তারিখের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করবেন মর্মে আদেশ দেন।
কিন্তু ভূমি দস্যু মো: লুৎফর বিশ্বাস আদালতের আদেশ অমান্য করে থানা পুলিশ এবং আর্মি ক্যাম্পের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে সরকারি ছুটির দিনগুলিতে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ।
এ বিষয়ে বিবাদী মো. লুৎফর বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জমি জবর দখলের বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারে নাই।
লোহাগড়ার লাহুড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ তুহিন হাওলাদার বলেন, মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। তবে বিজ্ঞ আদালতের আদেশের কোন কপি এখনো আমাদের হাতে পৌঁছাই নাই। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।