1. news@sangjogprotidin.online : ADMIN : ADMIN ADMIN
  2. info@www.sangjogprotidin.online : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "সংযোগ প্রতিদিন" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

শ্যামনগরে গাছ কেটে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ সংস্কার

  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৯ মার্চ, ২০২৫

শ্যামনগর প্রতিনিধি : শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের বন্যতলা এলাকায় বাঁধ সংস্কারের জন্য গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে চর বনায়নের গাছ কেটে বাঁধ সংস্কারের কাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের বন্যতলা গ্রাম এলাকায় গাছগুলো কাটা হচ্ছে। স্থানীয়দের তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত বাঁধ সংস্কারের কাজে শতাধিক গাছ কাটা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পরিবেশের ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গাছ কাটা বন্ধ ও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাঁধ রক্ষায় ঢাল হিসেবে কাজ করে চর বনায়নের গাছ। এ ছাড়া পাখিদের অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে উঠেছে এ বন। প্রথমে বাঁধ নির্মাণের জন্য চরের মাটি ব্যবহার করতে শত শত গাছ কাটা শুরু করেন শ্রমিকরা। পরে গাছের ক্ষতি হয়, এমন কাজ থেকে বিরত থাকার দাবি জানান স্থানীয়রা। এরপরও ঠিকাদারের লোকজন গাছ কাটা বন্ধ করেননি।
বন্যতলা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাঁধের পাশ থেকে এক্সকাভেটর দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। খোলপেটুয়া নদীর চর থেকে মাটি কাটার সময় এসব যন্ত্র দিয়ে উপড়ে ফেলা হচ্ছে গাছ। এ ছাড়া নদের চর দিয়ে এক্সকাভেটর নিতে বালু ভরাট করে পথ তৈরি করা হচ্ছে। এতে অসংখ্য গাছের শাঁসমূল চাপা পড়েছে।
বন্যতলা গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নদীর ঢেউ থেকে রক্ষায় ঘূর্ণিঝড় আইলার পর স্থানীয়রা গাছগুলো রোপণ করেন। অনেক বছর ধরে স্থানীয় বাসিন্দারা গাছগুলো দেখাশোনা করছেন। একেকটি গাছ এখন অনেক বড় হয়েছে। সেখানে পাখিরা এসে আশ্রয় নেয়। হঠাৎ গাছগুলো কাটতে দেখে অবাক হয়েছি।’
একই এলাকার বাসিন্দা মহাব্বত আলী বলেন, ‘ঝড়ের সময় চরের বড় বড় গাছ অনেকটা ঢাল হিসেবে আমাদের রক্ষা করে। গাছগুলো এভাবে কাটা ঠিক হলো না। এ ছাড়া বাঁধ টিকিয়ে রাখতে গাছের প্রয়োজন। খুব কষ্ট করে গাছগুলো লাগানো হয়েছিল। গাছ কাটা দেখে খুব খারাপ লাগছে।’
আবদুর রহিম নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘আগে বাঁধ সংস্কার করতে কোদাল দিয়ে কাজ করতে দেখা যেত। এতে গাছের কোনো ক্ষতি হতো না। কিন্তু এখন দেখছি, মেশিন দিয়ে বাঁধ সংস্কার করার জন্য গাছগুলো কেটে ফেলা হচ্ছে। যন্ত্রের সাহায্যে বাঁধের ঢাল থেকে মাটি কাটছে।’ এতে বাঁধের স্থায়িত্ব থাকে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাতক্ষীরা-১ বিভাগের অধীনে শ্যামনগরের ৭/২ নম্বর পোল্ডারে বন্যতলা এলাকায় ২০০ মিটার বাঁধ সংস্কারের কাজ চলছে। চুক্তিপত্র অনুযায়ী এটি বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমিন অ্যান্ড কোম্পানি। তবে কাজটি তারা না করে সাতক্ষীরায় সালাম নামে একজনের কাছে সাব-কন্ট্রাক্টে দিয়ে দেয়।
তিনি আবার মাটি দিয়ে বাঁধ সংস্কারের কাজটি প্রায় তিন লাখ টাকা চুক্তিমূল্যে আবদুল ওহিদ নামে আরেক লেবার প্রতিনিধির কাছে কাজটি বিক্রি করে দেন। গত এক সপ্তাহ আগে তারা (আবদুল ওহিদরা) সেখানে কাজ শুরু করেন। ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে গাছ কাটার কথা স্বীকার করেছেন লেবার প্রতিনিধি আবদুল ওহিদ। এ বিষয়ে তার ভাষ্য, কাজের স্বার্থে কিছু গাছ কাটতে হয়েছে। স্থানীয়রা সেসব গাছ কেটে নিয়ে যায়।
গাছ কেটে বাঁধ সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে পাউবোর সংশ্লিষ্ট পোল্ডারের দায়িত্বরত সেকশন অফিসার সুমন আলী বলেন, ‘আমার বদলির অর্ডার হয়েছে। এ বিষয়ে আপনি বর্তমান দায়িত্বে থাকা (সেকশন অফিসার) আলমগীর সাহেবের সঙ্গে কথা বলেন।’ তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পোল্ডারের বর্তমান দায়িত্ব পাওয়া আলমগীর হোসেনের কাছে যোগাযোগ করা হলে তিনি এখনো দায়িত্ব বুঝে নেননি বলে জানান।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাব-ডিভিশন-২-এর সহকারী প্রকৌশলী রাশিদুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে ও হোয়াটসঅ্যাপে একাধিকবার কল ও খুদে বার্তা পাঠিয়েও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সংযোগ প্রতিদিন
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট