শ্যামনগর প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা’র শ্যামনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী একটি প্রাচীন বাজার নওয়াবেঁকী বাজার। জেলার মধ্যে এটি একটি বৃহৎ বাজার হিসেবে পরিচিত। বিগত ৩০ বছর পূর্ব হতে এই বাজারটিতে অগণিত মানুষ বাজার করতে আসত। কিন্তু বর্তমানে আস্তে আস্তে বাজারটি থেকে ক্রেতা—বিক্রেতা অন্য বাজারে চলে যাচ্ছে। গতকাল মৎস্য আড়ত ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তারা নদীর জায়গা ভরাট করে রেখেছে। এ বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান বিভিন্ন এলাকা থেকে ভ্যান, ইজিবাইক, পিকআপ, ট্রাক, ইত্যাদিতে করে মাছ ক্রয়—বিক্রয় করার জন্য নিয়ে আসে। কিন্তু সেই গাড়িগুলো পার্কিং করার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায়, তারা মাছগুলো অন্য বাজারে নিয়ে চলে যায়। আর গাড়ী যদি বাইরে কোথাও রাখা হয় তাহলে গাড়ি চুরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গাড়ি রাখার জন্য তাদের একটি জায়গার প্রয়োজন। তাই মাছের আড়তের পিছনে কিছুটা জায়গা সামান্য ভরাট করে রেখেছি। তারা জানান আগের চেয়ে তাদের ব্যবসা অর্ধেকে নেমে এসেছে। যার কারনে ব্যবসা কে সচল রাখার জন্য তাদের গাড়ি রাখার একটি জায়গা খুবই প্রয়োজন। অভিযোগ ছিল এই জায়গা ভরাটের জন্য কিছু মানুষকে টাকা দিয়ে আঁতাত করার চেষ্টা করতে হয়েছে। কিন্তু অন্যান ব্যবসায়ীরা বলেন এই জায়গা আমরা নিজেদের টাকায় ভরাট করেছি। আমরা এর জন্য কাউকে কোন টাকা দেই নাই। এ বিষয়ে বাজার কমিটির সেক্রেটারি মনিরুজ্জামান মনির সাথে কথা বলে জানা গেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রনী খাতুন এর নির্দেশে বাজারে সকল ধরনের দোকানপাট নদী ভরাট বন্ধ রাখা হয়েছে। যাতে রাতে কেউ বাজারে ছাদ ঢালাই না দিতে পারে সেজন্য নাইটগার্ডের সজাগ দৃষ্টি রাখার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে মৎস আড়তের সভাপতি মুজিবুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান আমরা ইউএনও স্যারের কাছে একটি লিখিত দরখাস্ত করব। আমাদের গাড়ি রাখার জায়গা না হলে আমাদের ব্যবসার ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা অন্যত্র চলে যাচ্ছে। এখন আমরা আপাতত কাজ বন্ধ রেখেছি। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নদী ভরাটের মহা উৎসবে নেমেছে কিছু অসাধু দখলকারী। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় মৎস আড়তের ভরাটকৃত জায়গার পাশেই প্রাক্তন মেম্বার আব্দুল আজিজ অনেক জায়গা অবৈধভাবে ভরাট করে রেখেছে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।