1. news@sangjogprotidin.online : ADMIN : ADMIN ADMIN
  2. info@www.sangjogprotidin.online : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ১১:২৩ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "সংযোগ প্রতিদিন" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।
শিরোনাম :
খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজার দাফন সম্পন্ন নড়াইলের অবৈধ ট্রলী বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ বিএনপি শুধু তিন’শ নয়, তিন হাজার আসনেও প্রার্থী দিতে প্রস্তুত : হেলেন জেরিন খান পিরোজপুরে জার্নালিজম ফর সুন্দরবনের সভা অনুষ্ঠিত ডুমুরিয়ায় চুঁই ঝালের চাষ করে সাবলম্বী নবদ্বীপ মল্লিক যশোরে বিস্ফোরক মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে নগরীতে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও মাদকসহ গ্রেফতার ৪ দশমিনায় প্রাচীন ঐতিহ্যের আমির উল্লাহ মসজিদটি সংস্কারের পর দৃষ্টি কাড়ছে মোংলায় কবি রুদ্রের ৩৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত জাতিসংঘে ইসরায়েলকে তুলোধুনো করল পাকিস্তান, চীন, রাশিয়া ও আলজেরিয়া

উপকূলীয় এলাকায় মাত্রারিক্ত লবণাক্ততা

  • প্রকাশিত: শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫

শ্যামনগর : ‘জলাবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সাতক্ষীরায় কৃষি জমিতে মাত্রারিক্ত লবণের সন্ধান: টেনশনে গবেষকরা’ শিরোনামে গত ১১ এপ্রিল একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। প্রতিবেদনে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব তুলে ধরে বলা হয়েছেÑ কৃষি জমিতে ২৫ ডিএস মাত্রায় লবণের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তাছাড়া ভুগর্ভের পানিতেও লবণের উপস্থিতি আরও ভয়াবহ। যা রীতিমত ভাবিয়ে তুলেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট সাতক্ষীরা আঞ্চলিক কার্যালয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের। অন্যদিকে চলতি বোরো মৌসুমে জেলার উপকূলীয় এলাকার বহু সংখ্যক বোরো চাষি ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে উচ্চমাত্রার লবণের কারণে। এসব কৃষকরা বোরো উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশংকা করছেন।বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট সাতক্ষীরা আঞ্চলিক কার্যালয়ের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়েছেÑউপকূলীয় এলাকার অধিকাংশ কৃষি জমিতে মাত্রারিক্ত লবণ দেখা দিয়েছে। এরমধ্যে জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার খাজাবাড়িয়া এলাকার বোরো চাষের জমিতে সর্বোচ্চ ২৫ডিএস পর্যন্ত লবণ পাওয়া গেছে। তাছাড়া ভূগর্ভের পানিতে লবণের উপস্থিতি আরও বেশি বলে জানান তিনি। ফলে ২০২৪-২৫ মৌসুমে বোরো ধান গবেষণা প্রকল্পের অধীনে ওই লবণ এলাকাতে পরীক্ষামূলক বিভিন্ন ধান চাষ করা হলেও তাতে কাক্সিক্ষত ফলন হয়নি বলে জানান তিনি।অতিমাত্রার লবণের কারণে উপকূল এলাকার ধান গবেষণা প্রকল্পের অধীনে প্রদর্শণী মাঠের অধিকাংশ বোরো ধানের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। লবণের কারণে শুকিয়ে গেছে বোরো ক্ষেতের ধানের গাছ। ১৯৭৩ সালে জরিপে ৮ লাখ ৩৩ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন মাত্রার লবণাক্ততা পাওয়া যায়। ২০০০ সালের জরিপে লবণাক্ততার মাত্রা ১ লাখ ২০ হাজার ৭৫০ হেক্টর। ২০০৯ সালের জরিপে লবণাক্ততা ছিল ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৬০ হেক্টর। ১৯৭৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ২৬ দশমিক ৭ শতাংশ জমি লবণাক্ত হয়। ২০০০ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত লবণাক্ত হয় ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ জমি। ২০২২ সালের পরিসংখ্যা অনুযায়ী ২০২৫ সাল পর্যন্ত উপকুলীয় এলাকার জমিতে লবণের উপস্থিতি দ্বিগুন হয়েছে। সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ২০২২ সালে লবণের উপস্থিতি ৪.১ ডিএস পরিমান। সেখানে চলতি ২০২৫ সালের সর্বশেষ জরিপে লবণের উপস্থিতি পাওয়া গেছে ১০.৯ ডিএস মাত্রায়। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট জমিতে বা পানিতে লবণের যে জরিপ করেছে সেটা খুবই ভয়াবহ। ২৫ ডিএস মাত্রায় লবণের উপস্থিতি পাওয়া গেলে তা যে কোনো ফসলের জন্য মারত্মক ক্ষতিকর।জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় ১৮জেলার ৯৩টি উপজেলা বিভিন্ন মাত্রার লবণাক্ততায় আক্রান্ত। উন্মুক্ত জলাধার হ্রাস পাওয়ায় তাপপ্রবাহ বাড়ছে। এর প্রভাবে মানুষসহ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সবধরনের প্রাণীরা। তাপের কারণে ঘেরে চিংড়ি মরছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষি, স্বাস্থ্য ও পানি খাত। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জাতীয়ভাবে সমন্বিত উদ্যোগ ও পরিকল্পনা জরুরি।জলবায়ু পরিবর্তনে খুব বেশি দায়ী না হলেও বাংলাদেশ অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় দিন বাস্তুহীন, গৃহহীন মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি ফসল, মৎস্য উৎপাদন কমছে। লবণাক্ততা বাড়ছে। খেটে খাওয়া মানুষ বিশেষ করে নারী ও শিশু স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বেশি আছে কৃষি ও পানির ওপর। ফ্রেশ পানি হ্রাস পাওয়ায় মাছ চাষের ওপর নেতিবাচক প্রভাব মারাত্মক। ফলে মাছের স্বাভাবিক উৎপাদনও বাঁধাগ্রস্ত। তাপমাত্রায় পরিবর্তন হয়েছে। মৌসুমি বৃষ্টি নিয়েও শঙ্কা বাড়ছে।আমরা মনে করিÑপানিপ্রবাহ না থাকায় নদী শুকিয়ে যাচ্ছে। পানি সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে। কারণ উজানের পানি নেই। উজানের পানি প্রবাহ আনতে ৫৪ নদীর সমাধান দরকার। সাগরের পানির ওপর ভরসা করায় লবণের মাত্রা বাড়ছে। পরিবেশগত বায়ু, পানি ও শব্দ দূষণ কমানো, বৃক্ষরাজি গড়ে তোলা, নদী-খাল, হাওড়, বাওড়গুলোর পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। অপরিকল্পিত নগরায়ণ, বিশেষ অপরিকল্পিত উন্নয়ন বন্ধ করতে হবে। ভূগর্ভস্থ পানির নির্ভরতা যথা সম্ভব কমিয়ে আনতে হবে। এ জন্য জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় দেশী ও আন্তর্জাতিক আইন-নীতিমালাগুলোর সমন্বয় করতে হবে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সচেতনভাবে এসব কাজে সম্পৃক্ত হতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সংযোগ প্রতিদিন
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট