1. news@sangjogprotidin.online : ADMIN : ADMIN ADMIN
  2. info@www.sangjogprotidin.online : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৩:৩০ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "সংযোগ প্রতিদিন" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

সাবধান মধুতে ভেজাল

  • প্রকাশিত: শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫

শ্যামনগর
মধু সংগ্রহের জন্য পহেলা এপ্রিল সাতক্ষীরা রেঞ্জে সুন্দরবনে যায় চারটি নৌকা। এরপর ৭ এপ্রিল ৮২টি বিএলসি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সুন্দরবনে যাত্রা শুরু করেন মৌয়ালরা। মৌয়ালরা পাশ করে মধু আহরণের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশ করে ১৫দিনের জন্য। ১৫দিনে ১৫ থেকে ২০মণ মধু আহরণ করে ফিরে এসেছেন অনেকে। এ সংক্রান্ত একটি খবর শুক্রবার দৈনিক পত্রদূত পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে। প্রকাশিত খবরের তথ্যমতে, সুন্দরবনে বনদস্যুর কারণে তারা আতঙ্কে ছিলেন। কারণ দস্যুদের হাতে ধরা পড়লে নৌকা প্রতি ৫০হাজার টাকা দিতে হচ্ছে।
মৌয়ালদের বরাতে খবরে আরও বলা হয় মধু আহরণ করতে গেলে জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। সুন্দরবনে মধু খোঁজা আর বাঘ খোঁজা একই কথা। সুন্দরবনে বাঘ থাকে বেশি ঝোপের আড়ালে, মধুও থাকে বেশি ঝোপের আড়ালে। এ বছর অনাবৃষ্টির কারনে মধু কম।
মৌয়ালদের অভিযোগ মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই ১২০০ থেকে ১৪০০টাকায় প্রতি কেজি সুন্দরবনের মধু বিক্রি হয়। চোরা শিকারিরা সুন্দরবনে ঢুকে এসব মধু সংগ্রহ করে। অনেকেই আবার ভেজাল মধু তৈরি করে সুন্দরবনের মধু বলে বিক্রি করে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মৌয়ালরা। কেননা গভীর সুন্দরবনে মধু সংগ্রহের অনুমতি নেই। ফলে নিকটস্থ বনে গিয়ে মৌচাকের দেখা পাওয়া দুষ্কর।
বেশি দামের আশায় মাছ শিকারের অনুমতি নিয়ে সুন্দরবনে যাওয়া জেলেরা এসব মধু সংগ্রহ করে। ফলে কর্তৃপক্ষের নির্দিষ্ট করে দেওয়া সময়ে বনে ঢুকে প্রত্যাশিত পরিমাণ মধু সংগ্রহ নিয়ে তারা চিন্তায় পড়েন। এখন সাতক্ষীরার বিভিন্ন বাজারে চলে এসেছে সুন্দরবনের মধু।
সেইসঙ্গে মধুতে মেশানো হয় ভেজাল নানা উপাদান। স্থানীয়দের অভিযোগ, বেশি দাম পাওয়ার আশায় জেলের বেশে কিছু অসাধু মানুষ বনে ঢুকে অপরিণত চাক কেটে এসব মধু সংগ্রহ করেন। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে বা পূর্ণ মৌসুমে সুন্দরবনে গিয়ে কাক্সিক্ষত পরিমাণ মধু না পাওয়ার শঙ্কায় পড়েন মৌয়ালরা। এছাড়া আগেভাগে অপরিণত চাক কাটার দরুণ মধুর উৎপাদন কমে যেতে পারে বলেও মনে করেন তারা। ভেজাল মধুর সরবরাহ রুখতে আইনের কঠোর প্রয়োগসহ সুন্দরবনসংলগ্ন গ্রামগুলোতে নজরদারি জোরদারের দাবি করেছেন তারা।
সুন্দরবনের মধুর সুখ্যাতির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি বাজারে ভেজাল মধু বিক্রি করছে। নানা অজুহাতে সুন্দরবনে প্রবেশের পর অপরিণত চাক কাটছে তারা। সঙ্গে নিয়ে যাওয়া চিনি জ্বালিয়ে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে লোকালয়ে ফিরছে। আবার কিছু দাদন ব্যবসায়ী অল্প দামে মধু কিনে তার সঙ্গে বাড়িতে জ্বালানো চিনি মিশিয়ে পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছে। এভাবে ভেজাল মধু বাজারজাতকরণে সুন্দরবনের মধু গুরুত্ব হারাচ্ছে।
আমরা মনে করি, ভেজাল মধু তৈরিতে জড়িতদের চিহ্নিত করতে স্থানীয়দের ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। এ জন্য দরকার সচেতনতা। অনুমোদন পাওয়ার আগেই যারা মাছ ধরার পাস নিয়ে বনে ঢুকে মধু চুরি করে আনছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী। এছাড়া ভেজাল মধু তৈরির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ বলে আমরা মনে করি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সংযোগ প্রতিদিন
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট