ডেস্ক রিপোর্ট : উপজেলা ভূমি অফিসে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছেন সাতক্ষীরার তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ রাসেল। এখানে ঘুষের রেট নির্ধারণ করে রেখেছেন তিনি।
নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সক্রিয় এই কর্মী আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩৫তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি পান। প্রশাসন ক্যাডারে যোগদানের পর এমন কোনো আওয়ামী সুবিধা নেই, যা তিনি পাননি। জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় ছাড়াও ভূমি অফিসে ইউএনওর আছে একচ্ছত্র আধিপত্য। এখানে ঘুষের রেট নির্ধারণ করে রেখেছেন তিনি। নামজারি, নাম সংশোধনসহ ভূমিসংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা সমাধানে গরিবের পকেট কাটা হয় এখানে। এই পকেট কেটে নেওয়া অর্থের বড় অংশ রেট অনুযায়ী ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মিরাজ হোসেন, বড়বাবু আব্দুল হাই ও নাজির তপন কুমারের হাত ঘুরে চলে যায় ইউএনওর পকেটে। জমির নামজারি করতে হলে প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হয়। এরপর শুরু হয় ঘুষ বাণিজ্য। আবেদনের পর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি অফিস থেকে প্রত্যয়ন নিতে হলে দিতে হয় ঘুষ, এরপর সার্ভেয়ারের প্রত্যয়নেও ঘুষ, এমনকি বড়বাবু ও নাজিরের টেবিলে ঘুষের টাকা জমা না হলে এসিল্যান্ডের টেবিলে ফাইল যায় না। উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকেও আলাদাভাবে আসে ঘুষ। তা যায় শেখ মো. রাসেলের কাছে।
নগরঘাটা গ্রামের নুরুল ইসলাম বলেন, ‘নামজারি করতে আট হাজার টাকা দিয়েছি। ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না। আগে এসিল্যান্ড অফিসে দিতে হতো তিন-চার হাজার টাকা।