1. news@sangjogprotidin.online : ADMIN : ADMIN ADMIN
  2. info@www.sangjogprotidin.online : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ০৯:৪৭ অপরাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "সংযোগ প্রতিদিন" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

কালো মেঘ হলে সাবধান, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বজ্রপাত বেড়েছে

  • প্রকাশিত: শনিবার, ১০ মে, ২০২৫

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : বিজ্ঞানীরা বলছে আকাশে কালো মেঘ হলে সাবধান জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বজ্রপাত মারাত্মক আকার ধারণ করেছে,,। আকাশে কালো মেঘ এবং বজ্রপাতের সময়, কোন অবস্থাতেই খোলা আকাশের নিচে থাকা যাবে না টিনের চালের ঘরে থাকা যাবে না গাছ তলায় থাকা যাবে না, কারেন্টের প্লেয়ারের খুঁটির গায়ে থাকা যাবে না, নদীতে খালে বিলে মাছ ধরতে এবং অন্যান্য কাজে থাকা যাবে না, ঘরে রক্ষিত টেলিভিশন বেতাত যন্ত্র চালানো যাবে না, হাটবাজারে এলোপাথাড়ি ঘোরাফেরা করা যাবে না, সাবধান হতে হবে বজ্রপাত থেকে,,, কারণ বিশেষ করে পশ্চিম আকাশে কালো মেঘ দেখা দিলে মনে করতে হবে অনাবার্য বজ্রপাত হতে পারে সে কারণে আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে ‌,,,বুধবার বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ‘বাবার সাথে পাকা ধান কেটে ফেরার সময় বজ্রপাতে প্রাণ গেল সন্তানের’ এবং ‘স্কুল থেকে ফেরার পথে বজ্রপাতে প্রাণ গেলো ৩ শিক্ষার্থীর’ শিরোনামে পৃথক দুটি সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। প্রথম ঘটনাটি ঘটেচে সাতক্ষীরার দেবহাটায়। অপরদিকে দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায়। এতে বলা হয়েছেÑস্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে তিন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে ঝড়সহ বৃষ্টি শুরু হয়। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে চরটেকী নামাপাড়ায় ঝড়বৃষ্টির কবলে পড়ে তিন স্কুল শিক্ষার্থী। এসময় ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত হলে গুরুতর আহত হন ওই তিনজন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে দ্রুত পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইরিনা ও প্রিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বর্ষারও মৃত্যু হয়।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশে বজ্রপাতের ঘটনা বাড়ছে। একইসঙ্গে বাড়ছে বজ্রপাতপ্রবণ এলাকার পরিধিও। বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, উত্তরে হিমালয়-এ ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ বজ্রপাতপ্রবণ এলাকার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সারা দেশে এ সময় কৃষক ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ ব্যস্ততা অনেকদিন চলমান থাকবে। গত কয়েক বছর ধরে লক্ষ করা যাচ্ছে, বৈশাখ মাসে বজ্রপাতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। চলতি বজ্রপাত মৌসুমে, বিশেষ করে ২৮ এপ্রিল একদিনেই বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন ২৩জন, যাদের মধ্যে ১৯জনই কৃষক ছিলেন। ২০১৬ সালে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসাবে ঘোষণা করা হয় এবং এ দুর্যোগ থেকে দেশের মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বেশকিছু পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছিল। বজ্রপাতে প্রাণহানি কমাতে লাখ লাখ তালগাছ লাগানোর প্রকল্প থেকে সুফল মিলেনি। তালগাছ লাগানো হয়েছিল মূলত সড়কের পাশে। অথচ এক্ষেত্রে বেশির ভাগ মানুষ মারা যায় মাঠে। একটি তালগাছ বড় হওয়ার জন্য বহু বছর অপেক্ষা করতে হয়। এ দৃষ্টান্ত বিবেচনায় নিয়ে আগামী দিনে এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্কতার পরিচয় দিতে হবে। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ মনে করেন, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনার মতো এলাকায় বজ্র নিরোধক দ- বসিয়ে কিছুটা সুফল পাওয়া যেতে পারে। এজন্য পরীক্ষামূলক প্রকল্প নেওয়া যায়। বজ্র নিরোধক দ-ের সঙ্গে যুক্ত যন্ত্রাংশ চুরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এ ধরনের প্রকল্পে স্থানীয় মানুষের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর পদক্ষেপ নিতে হবে। বজ্রপাতের ঝুঁকি প্রশমনে একগুচ্ছ সতর্কতার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর মধ্যে রয়েছে বজ্রপাতের সময় জানালা ও দরজা বন্ধ রাখতে হবে, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশগুলোর প্লাগ খুলে রাখতে হবে, জলাশয়ে থাকলে দ্রুত উঠে আসতে হবে এবং অবশ্যই বিদ্যুৎ পরিবাহক বস্তুর ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে এবং সেগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে। লক্ষ করা গেছে, প্রাক-বর্ষাকাল এবং বর্ষাকালজুড়ে সারা দেশে বজ্রপাতে মানুষের প্রাণহানি বাড়ে। কাজেই এ সময় কীভাবে বজ্রপাত থেকে সুরক্ষা মিলবে, তা মানুষকে জানাতে হবে। মানুষ মাঠেঘাটে হরহামেশাই বজ্রপাতে প্রাণ হারান। কাজেই এ থেকে সুরক্ষায় সময়োপযোগীয় প্রযুক্তি আবিষ্কার করতে হবে এবং তা সহজলভ্য করার পদক্ষেপ নিতে হবে। বজ্রপাতে আহত মানুষের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্যও নিতে হবে সময়োপযোগী পদক্ষেপ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সংযোগ প্রতিদিন
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট