ডেস্ক রিপোর্ট : পুলিশে চাকরি, তাও আবার মাত্র ১২০ টাকায়। এ ধরনের ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হয়েছে ঝিনাইদহে। এ সময় কনস্টেবল পদে নিয়োগ পান ২৫ প্রার্থী।
বুধবার (১৪ মে) রাতে ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনের কার্যালয়ে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের একে একে চূড়ান্ত নাম ঘোষণা করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. মনজুর মোর্শেদ। এছাড়া আরও পাঁচ প্রার্থীকে ওয়েটিং লিস্টে রাখা হয়। এ সময় চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের আত্মীয়-স্বজনরা আনন্দে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এর আগে গত এপ্রিল মাসের ৪ তারিখ পুলিশের যাচাই-বাছায় প্রক্রিয়া শুরু হয়। সে সময় মোট আবেদন করেন এক হাজার ৭৪১ জন। এরপর চলতি মাসের ৪ মে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয় ২৬৯ জন । তার মধ্যে ৬৯জন উত্তীর্ণ হওয়ার পর আজ ভাইভার মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে প্রথম স্থান অধিকার করেন ঝিনাইদহ শহরের গুলশান পাড়ার আকাশ দাস।
চাকরির খবর পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন কোটচাঁদপুর উপজেলার জয়দিয়া গ্রামের অশোক হালদারের মেয়ে শিমলা হালদার। পিতা অশোক হালদার বলেন, কোনো ঘুষ কিংবা তদবির ছাড়াই আমার মেয়ের চাকরি হয়েছে।
পুরো প্রক্রিয়ায় প্রথম হওয়া ঝিনাইদহ শহরের গুলশান পাড়ার আকাশ দাস বলেন, মাত্র ১২০ টাকায় চাকরি পাবো, তা কোনো দিনও ভাবিনি। আমার বাবা একজন ভ্যানচালক। অত্যন্ত কঠিন পরিশ্রম করে আমাদের তিনি মানুষ করেছেন। তবে একসময় ভাবতাম ভিন্ন কোনো পেশায় যেতে হবে। কারণ, সরকারি চাকরি মানেই তদবির ও ঘুষ। অথচ আমার পুলিশের এই চাকরিতে তার কোনোটাই লাগেনি ।
জেলা পুলিশ সুপার মো. মনজুর মোর্শেদ জানান, সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে এবং স্বচ্ছতা ও মেধার ভিত্তিতে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে । তিনি উত্তীর্ণদের জন্য শুভকামনা জানান। তিনি আরও জানান, পুলিশে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই কঠিন স্বচ্ছতার সঙ্গে ধাপে ধাপে এগিয়েছে তারা ।