1. news@sangjogprotidin.online : ADMIN : ADMIN ADMIN
  2. info@www.sangjogprotidin.online : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১২:৪০ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "সংযোগ প্রতিদিন" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।
শিরোনাম :

জীবননগরে টিসিবি’র ডিলার নবায়নের তদন্তেও অনিয়ম

  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫

জীবননগর(চুয়াডাঙ্গা)প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে টিসিবির ডিলার নবায়নের তদন্তেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিন পরিদর্শন এবং সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র যাচাই-বাছাই না করেই ঘরে বসে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল হামিদ। আবার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল হামিদই বলছেন, টিসিবির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হলেও উপজেলা প্রশাসন থেকে যেমন নির্দেশনা পেয়েছেন, তেমনি তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও, তিনজন ডিলারের তদন্ত করে ছয়জন ডিলারের রিপোর্ট দিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

 

প্রতি দুই বছর পরপর তদন্ত করে ডিলারশিপ নবায়ন করার নিয়ম। সে অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের দপ্তর থেকে উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়া হয়। উপজেলা প্রশাসন থেকে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. আব্দুল হামিদ টিসিবি’র ডিলারশিপ নবায়ন পূর্ব তদন্তের দায়িত্ব পান।

 

জীবননগর উপজেলার ১৪ জন ডিলারের মধ্যে এ বছর ৬ জন ডিলারের নবায়নের তদন্ত হওয়ার কথা। অভিযোগ উঠেছে গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) ৬ জন ডিলারের মধ্যে আব্দুল হামিদ সরেজমিন তদন্ত করেন তিনটি ডিলারদের গোডাউন। আর তিনজন ডিলারের গোডাউন তদন্ত করেই তিনি পাঁচজনের ডিলারশিপ নবায়নের জন্য ইতিবাচক মতামত দেন। একমাত্র মেসার্স লুবনা ট্রেডার্সের ক্ষেত্রেই তদন্ত কর্মকর্তা নেতিবাচক মতামত দেন। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘মেসার্স লুবনা ট্রেডার্সের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন থেকে সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা সালাউদ্দীন যে তদন্ত রিপোর্ট সরবরাহ করেছেন, সেই অনুযায়ী আমি মতামত দিয়েছি।’

 

আরও অভিযোগ উঠেছে, টিসিবি’র ডিলার মেসার্স সাগর কুমার বিশ্বাসের নিজস্ব কোনো দোকান বা ভাড়া নেয়া গোডাউন নেই। তার পরেও সাগর কুমার বিশ্বাসের ডিলারশিপ নবায়নে ইতিবাচক মতামত দেয়া হয়েছে। জনশ্রুতি আছে শর্তপূরণ না করেও সাবেক এমপি টগরের প্রভাব খাটিয়ে ডিলারশিপ পেয়েছিলেন মেসার্স সাগর কুমার বিশ্বাস।

 

ডিলারশিপ পেতে আগের দেয়া মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে এবারও তদন্তকারী কর্মকর্তাকে একটি ফাস্ট ফুডের ডিলারের গোডাউনের সামনে টাঙানো ব্যানার দেখান। তাই দেখে সন্তষ্ট হয়ে কোনো কাগজপত্র যাচাই ছাড়াই এবারেও নবায়নে মতামত দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।

 

অনুসন্ধান বলছে, তদন্ত করার সময় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে সাগর কুমার বিশ্বাস যে গোডাউনের সামনে টিসিবির ব্যানার টাঙ্গিয়ে তার নিজের বলে দেখিয়েছেন, প্রকৃতপক্ষে সেটি জীবননগর পৌর যুবলীগের সভাপতি শাহ আলম শরিফুল ইসলাম ছোট বাবুর ভাগ্নের ফাস্ট ফুড ডিলারের গোডাউন।

 

এদিকে, টিসিবির নীতিমালা না মেনে পূর্বে থেকেই মেসার্স সততা মুদি স্টোর ও মেসার্স খাদিজা মুদি স্টোর নামে পৃথক দুটি ডিলারশিপ রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক এমপি টগরের ঘনিষ্ঠজন মো. রহিদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী খাদিজা খাতুনের নামে। রহিদুল ইসলাম চিহ্নিত আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী নেতা। তারপরও তার স্ত্রীর নামেও আছে ডিলারশিপ। যা নীতিমালা পরিপন্থী। তবুও অনিয়মের কোনো শাস্তির সুপারিশ না করে আবারও রহিদুল ইসলামের ডিলার নবায়নের জন্য সুপারিশ করেছেন ওই তদন্তকারী কর্মকর্তা।

 

তবে ভিন্নতা দেখিয়েছেন একটি মাত্র তদন্তে। তিনটি প্রতিষ্ঠানের সরেজমিন করে ৬টির মধ্যে ৫টি প্রতিষ্ঠানকে নবায়নের সুপারিশ করলেও মেসার্স লুবনা টেড্রার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে নবায়নের জন্য নেগেটিভ রিপোর্ট দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল হামিদ। আবার সেই প্রতিষ্ঠানটির সরেজমিন তদন্তও করেননি তিনি। তবে নিজ মুখেই খোদ তদন্ত কর্মকর্তা বলছেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশিত হয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তিনি।

 

জীবননগর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও টিসিবির ডিলার নবায়নের তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হামিদ বলেন, ‘এগুলো ডিসি-ইউএনও স্যারের কাজ। আমার কাজ না। আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে। আমি নতুন মানুষ। করে দিয়েছে আরকি। স্বামী-স্ত্রীর ক্ষেত্রে নীতিমালা অনুযায়ী একজনের সুপারিশ করেছি। আমার কাছে একটি মতামত চেয়েছিলো, আমি একটা মতামত দিয়েছি। ফাইনাল রিপোর্ট দিবেন ইউএনও স্যার। আমি জাস্ট প্রতিষ্ঠানটি আছে কি না সেটা দেখেছি। ডিডের ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবো না।’

 

এক প্রশ্নের জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ বলেন, ‘এখন এটা বলা আমার জন্য কষ্টকর। ইউএনও অফিস থেকে যেমন নির্দেশনা দিয়েছে, তেমন রিপোর্ট দিয়েছি। অনিয়ম যদি থাকে, তাহলে পুনঃতদন্ত হবে। আমার কিছু করার নেই। দোকান দেখেছি। দোকানগুলো তাদের কি না সেটা দেখার দায়িত্ব আমার না। আমি তিনটা বা চারটা দোকানে গেছি। রিপোর্ট দিয়েছি ৬টা।’

 

মেসার্স সাগর কুমার বিশ্বাসের ঘরটি তার নিজের বা ডিড করে ভাড়া নেয়া এটা যাচাই করেছেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘ঘরটিতে টিসিবির সাইন বোর্ড দেখেছি। টিসিবির কোনো পণ্য ছিল না। কাগজপত্র আমি দেখিনি।’ মেসার্স লুবনা টেড্রার্সে না গিয়েও কীভাবে নেগেটিভ রিপোর্ট দিলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাকে আগেই বলে দিয়েছে মেসার্স লুবনা ট্রেডার্সের নামে আগে থেকেই রিপোর্ট আছে। আমি সেখানে যায়নি। কিন্তু তার বিরুদ্ধে যে রিপোর্ট আছে, ওই রিপোর্টটাই দিয়েছি। ইউএনও স্যারের অফিসের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা সালাউদ্দীন সাহেব আমাকে রিপোর্টটি সরবরাহ করেছেন।’

 

মেসার্স লুবনা ট্রেডার্সের মালিক মো. মিঠুন বলেন, ‘টিসিবির লাইসেন্স তদন্ত করতে কবে এসেছে, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমাকে কিছু জানানো হয়নি। একজন ডিলারের মাধ্যমে জানতে পেরে আমি তদন্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল হামিদের সাথে কথা বলেছিলাম। তিনি আমাকে বলেছেন, “আপনার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও ইউএনওর বিরূপ মত থাকায় আমি আপনার ওখানে যায়নি।” আমি জানতে পেরেছি তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত না করেই নবায়ন যাতে না হয়, সে জন্য সুপারিশ করেছেন। যা অন্যয্য।’

 

মেসার্স সাগর কুমার বিশ্বাস ট্রেডার্সের মালিক সাগর কুমারের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তিনি মুঠোফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

এ বিষয়ে জানতে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আল-আমীন ও জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা সালাউদ্দীনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা মুঠোফোন রিসিভ করেননি। যে কারণে তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

 

তবে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি তথ্যগুলো নোট নিয়েছি। যাচাই করে দেখবো।###

 

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সংযোগ প্রতিদিন
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট