ডেস্ক রিপোর্ট : এবারের এসএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডে পাসের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা কমেছে। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, এ বছর পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৭৩.৬৯ শতাংশ।
এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৫ হাজার ৪১০ জন শিক্ষার্থী। গত বছর সর্বোচ্চ ফলাফলে দেশসেরা অবস্থানে থাকলেও এবার সেই অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি যশোর বোর্ড।
গত বছর যশোর বোর্ডে পাসের হার ছিল ৯২.৩৩ শতাংশ এবং ২০ হাজার ৭৬১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিল। সেই হিসেবে, এ বছর পাসের হার কমেছে ১৮.৬৪ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা কমেছে ৫ হাজার ৩৪১ জন।
যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন দশ জেলার মধ্যে পাসের হারে সবচেয়ে এগিয়ে আছে যশোর জেলা।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টায় যশোর শিক্ষা বোর্ডে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব এই তথ্য জানান মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ আসমা বেগম।
এসময় সেখানে বোর্ডের সচিব অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আব্দুল মতিন, কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক তৌহিদুর রহমান, বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. কামরুজ্জামানসহ যশোরে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছর খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ২ হাজার ৫৭৫টি স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৩১৯ জন। পাশ করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪৬ হাজার ৫৮৭ জন ছেলে ও ৫৫ হাজার ৭৩২ জন মেয়ে।
এবার এ বোর্ডে পাশের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুটোই কমেছে।
বিভাগভিত্তিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর সংখ্যা হলো: বিজ্ঞান বিভাগে ৩৬ হাজার ১৭৭ জন, মানবিক বিভাগে ৫৩ হাজার ৮৩১ জন এবং বাণিজ্য বিভাগে ১২ হাজার ৩১১ জন।
এ বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আব্দুল মতিন বলেন, এবার অন্যান্য বিষয়ের তুলনায় ইংরেজি ও অঙ্কে পাশের হার কিছুটা কম হয়েছে। যার প্রভাবে সামগ্রিক পাশের হারও গতবারের তুলনায় কিছুটা কমেছে।
ফলাফল নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ বছরের ফলাফলে আমরা সন্তুষ্ট। কারণ শতভাগ পাসের ‘আইওয়াস’ এবার নেই। যারা পাস করেছে তারা পরীক্ষা দিয়ে নিজের যোগ্যতায় পাস করেছে। ভবিষ্যতে ফলাফল আরও ভালো করার জন্য বোর্ডের চলমান পদক্ষেপগুলো অব্যাহত থাকবে এবং ফলাফল আরও ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে চান বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, এবার ইংরেজিতে ৮৩.৭৭ এবং অঙ্কে ৮৫.০২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করেছে। তবে বাংলায় ৯৭.৯২, ভুগোলে ৯৪.৬৯, ইসলাম ধর্মে ৯৭.৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাশ করেছে।
তিনি আরও জানান, এ বছর ৭৫টি প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাস করেছে এবং ২টি প্রতিষ্ঠান শূন্য পাস করেছে।