ক্রীড়া প্রতিবেদক : শ্রীলঙ্কা সফর শেষ হতে না হতেই আবারও মাঠে নামছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। সফর থেকে দেশে ফেরার আগেই ঢাকায় পা রেখেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল, যাদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে টাইগাররা। আগামীকাল ২০ জুলাই (রোববার) শুরু হবে এই হাইভোল্টেজ সিরিজ।
সিরিজ শুরুর আগে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন পাকিস্তান দলের নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সালমান আলি আগা। এ সময়ে বাংলাদেশকে সমিহ করে সালমান বলেন, আমরা এখন আলাদা ধাঁচে খেলছি। কন্ডিশন বুঝে এগোতে চাই। যদি কন্ডিশন সুযোগ দেয়, তাহলে আগ্রাসী ক্রিকেটই খেলব। আর যদি তা না হয়, তাহলে যেটা দরকার সেটা করব। আমাদের লক্ষ্য পার স্কোরের চেয়ে ১০-১৫ রান বেশি করা এবং প্রতিপক্ষকে তার নিচে আটকে রাখা।
পাকিস্তান দলে তারকা ক্রিকেটার বাবর আজম-শাহীন আফ্রিদির মতো তারকা ক্রিকেটার ছাড়াই টাইগারদের বিপক্ষে খেলতে এসেছেন। এরপরও ভালো ফলের আশাবাদী ম্যান ইন গ্রিনদের অধিনায়ক। দুজনই খুব ভালো বোলার। আমি খুবই রোমাঞ্চিত ওদের নিয়ে। ওদের সুযোগ দিতে মুখিয়ে আছি।
এদিকে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০১৬ সালের পর বাংলাদেশের কোনও জয় নেই। তবে সেই পরিসংখ্যানের দিক তাকাচ্ছেন না সালমান। তিনি বলেন, আমরা গত ৯ বছর ধরে জিতে আসছি—এই চাপ নিয়ে খেলতে চাই না। প্রতিটি ম্যাচেই আমাদের লক্ষ্য ভালো ক্রিকেট খেলা এবং বড় মুহূর্তগুলোতে দাপট দেখানো।
সালমান আর বলেন, অনেকেই বিপিএলে খেলেছে, যেটা আমাদের জন্য ইতিবাচক। আমরা ওদের অভিজ্ঞতা থেকে শিখেছি, পরিকল্পনাও করেছি সেই অনুযায়ী।
বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের প্রসঙ্গে সালমান বললেন, ওরা পাকিস্তানের জন্য অনেক কিছু করেছে। তবে টি-টোয়েন্টি প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে। আমরা এখন এমন স্কোয়াড গড়েছি, যারা দ্রুত গতির টি-টোয়েন্টি খেলতে পারে।
উইকেট ও কন্ডিশন যে বড় প্রভাব ফেলতে পারে, তা নিয়েও সতর্ক সালমান, শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের যেকোনো জায়গাতেই কন্ডিশনের গুরুত্ব থাকে। আমরা সেটা বুঝেই এগোচ্ছি।
সিরিজ শুরুর আগে করাচিতে প্রস্তুতি ক্যাম্প করেছিল পাকিস্তান। সেখানে ম্যাচ পরিস্থিতির অনুরূপ অনুশীলনের ওপর গুরুত্ব ছিল বেশি। সালমান বলেন, আমরা এমন পরিস্থিতি তৈরি করে অনুশীলন করেছি, যেটা ম্যাচে হতে পারে। এতে খেলোয়াড়রা বাস্তব চিত্রে নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে।