1. news@sangjogprotidin.online : ADMIN : ADMIN ADMIN
  2. info@www.sangjogprotidin.online : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০৮:১৯ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "সংযোগ প্রতিদিন" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

মাদারীপুর পৌরসভার ময়লা পুড়িয়ে ফেলায় বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

মাদারীপুর : ১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদারীপুর পৌরসভা ১৯৯১ সালে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়। অথচ, এই পৌরসভায় নেই কোন ডাম্পিং স্টেশন। তাই দুটি মহাসড়কের পাশেই ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। ৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ যাত্রী, চালক ও এলাকাবাসী। এতে বাড়ছে রোগবালাইও। এদিকে ৫ একর জমিতে আধুনিক ডাম্পিং স্টেশন নির্মানের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পৌর প্রশাসক।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাদারীপুর শহরের শকুনী মৌজায় গণপূর্ত বিভাগের অফিস। এই সামনেই সৃষ্টি হয়েছে ময়লার ভাগাড়। অথচ, মাদারীপুর-শরিয়তপুর মহাসড়ক দিতে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। শহরের ময়লা একসাথে এখানে জমানোতে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ত। একই চিত্র সড়কটি ফোরলেনের খাগদী এলাকার। এখানে জমানো ময়লা পুড়িয়ে ফেলায় বাতাসের সাথে বিষাক্ত ধোঁয়া আশাপাশে ছড়িয়ে পড়ছে। এতে বাড়ছে রোগবালাই। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের বড়মেহের এলাকায় ৭ বছর ধরে ফেলা হয় নোংরা-আবর্জনা। পাহাড় সমান উঁচু হয়েছে এই ময়লা। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বাঁধার মুখে এই কার্যক্রম সরিয়ে নতুন করে ময়লা ফেলা হচ্ছে মহাসড়কের ডাসার উপজেলার পান্তাপাড়া এলাকায়। পৌরসভার ময়লা মহাসড়কে ফেলায় ক্ষুব্ধ যাত্রী, চালক, পথচারী ও স্থানীয়রা।
জানা যায়, মাদারীপুর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৩৪টি মৌজায় প্রায় দুই লাখ মানুষের বসবাস। ময়লা অপসারনে ১১১ জন পরিছন্নতা কর্মী, ৫ জন ভ্যানচালক ও ২৫ জন ট্রাকচালক নিয়োজিত রয়েছে। ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত হয় মাদারীপুর পৌরসভা। দেড়শো’ বছরের পুরনো পৌরসভায় গড়ে ওঠেনি ডাম্পিং স্টেশন। এজন্য পৌরসভার অব্যবস্থাপনাকেই দুষছেন ভুক্তভোগীরা।
খাগদী এলাকায় বসবাসকারী মাদ্রাসা শিক্ষক মাসুদুর রহমান বলেন, পৌরসভার গাড়ি থেকে এখানে ময়লা এনে ফেলায়। বার বার নিষেধ করার পরও কেউ কথা শোনে না। মাদ্রাসার পাশে এভাবে ময়লা ফেলায় দুর্গন্ধে শিশুদের শ^াসকষ্ট হচ্ছে। দ্রুত এই ময়লা এখান থেকে অপসারণ করা হোক।
মাদারীপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মারুফ হোসেন বলেন, ছোটবেলা থেকে খাগদীতে বড় হয়েছি। কিন্তু মহাসড়কের পাশে এই দুর্গন্ধ ভোগ করছি ৫-৬ বছর হলো। কিছুদিন এখানে ময়লা ফেলা বন্ধ ছিল, এখান আবার শুরু করেছে। এখানকার দুর্গন্ধে আমরা অতিষ্ঠ।
মধ্য খাগদী গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, কিছু মানুষের উপকারে, তাদের স্বার্থে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। মাদারীপুর পৌরসভার ময়লা এখানে কেন ফেলবে, এই প্রশ্নের উত্তর আমাদের জানা নেই।
মাদারীপুর-শরিয়তপুর মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী মোশারেফ রেপারী বলেন, শকুনী মৌজার গণপূর্ত অফিসের সামনে ৫ বছর ধরে এখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। রাস্তার উপরে ময়লা ফেলায় পোকামাকড় হয়েছে। চলাচল করাই এখন দায়।
শকুনী মৌজার বাসিন্দা ইয়াসিন গৌড়া জামিল বলেন, এই শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান মহাসড়ক। সেখানে দিনের পর দিন এভাবে ময়লা ফেলা হচ্ছে, প্রচন্ড দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এই ময়লা এখনই অপসারণ করা না হলে আগামীতে মাদারীপুর-শরিয়তপুর মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করা সম্ভব হবে না। আশপাশের মানুষের বসবাস অযোগ্য হবে।
মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি এডভোকেট মাসুদ পারভেজ বলেন,দীর্ঘদিন যাবত মহাসড়কের পাশে পৌরসভার ময়লা ফেলা হয়। আমরা নিয়মিত ভাবে ময়লা ফেলার প্রতিবাদ করলেও কেউ কথা শোনে না। কিভাবে এর প্রতিকার পাবো আমরা কেউ জানি না। তবে পৌর কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
মাদারীপুর অর্থনীতি সমিতির সভাপতি রিপনচন্দ্র মল্লিক বলেন, ‘পৌর শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বাজেট বাড়ানো প্রয়োজন। এই খাতে পৌর কর্তৃপক্ষের উচিত সর্বাধিক অর্থ খরচ করে নাগরিকদের উন্নত মানের সেবা দেওয়া। সেই সাথে মাদারীপুরে একটি ডাম্পিং স্টেশন দ্রুত নির্মাণ করা। যাতে পৌরবাসী এই সমস্যার দুর্ভোগ থেকে স্থায়ী ভাবে সমাধান পায়।’
মাদারীপুর পৌরসভার প্রশাসক (উপসচিব মোহাম্মদ হাবিবুল আলম) জানান, সমস্যা সমাধানে ৬৯ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। সেইজমিতে এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে সেই জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। আশা করছি এই সমস্যা কাটিয়ে এক বছরের মধ্যেই হবে বাস্তবায়ন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
© সংযোগ প্রতিদিন
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট