1. news@sangjogprotidin.online : ADMIN : ADMIN ADMIN
  2. info@www.sangjogprotidin.online : দৈনিক সংযোগ প্রতিদিন :
রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ০২:১৫ পূর্বাহ্ন
বিজ্ঞপ্তি :
জরুরী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে আপনার কাছে একটি দুর্দান্ত সুযোগ! "সংযোগ প্রতিদিন" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে।

দশমিনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ২২টি বসতঘরে চুরি

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

দশমিনা(পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় হিন্দু মাতুয়া সম্প্রদায়ের ২২ বসতঘরে চুরির ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামে এই চুরির ঘটনায় মাতুয়া সস্প্রদায়ের মানুষ সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে ।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামে দেড়মাস পূর্বে মতুয়া সম্প্রদায় ও কৃষ্ণ ভক্তদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ঐ ঘটনায় কৃষ্ণ ভক্তদের একজন মারা যাবার দশমিনা থানায় মামলা হয়। মামলার পর থেকে পুলিশের ভয়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের পরিবারে পুরুষ শুন্য হয়ে পড়ে। প্রতিদিনের ন্যায় গতসোমবার দিবাগত রাতে মতুয়া সম্প্রদায়ের ২২ পরিবারে লোকজন রাত ১ টার মধ্যে ঘুমিয়ে যায়। ফজরের আযানের সময় মতুয়া সম্প্রদায়ের উত্তম চন্দ্র হাওলাদার প্রকৃতির ডাকে ঘর থেকে বের হয়ে দেখে সামনের দরজা খোলা ঘরের মালামল এলোমেলো পরে আছে। সে চিৎকার করলে পাশের ঘরের লোকজন ঘুম থেকে উঠে দেখে সকলের একই অবস্থা। ২২ পরিবারের দাবি ঘরের মধ্যে থাকা নগদ টাকা, স্বর্নলাংকার ও থালা-বাটি নিয়ে যায়। এই ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর সদস্য ও স্থানীয় লোকজন আসে।
উত্তম চন্দ্র হাওলাদার বলেন, জানি না কি দিয়ে কি হয়ে গেলো। এক সাথে এতগুলো ঘরচুরির ঘটনা দশমিনায় এই প্রথম। কোন একটি দক্ষ চক্র এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা কোন লোকজনের আলাপই পাইনি। আমি যখন ঘুম থেকে সজাগ হই তখন দেখি আমার ঘরের সামনের দরজা খোলা রয়েছে। ঘরের আলমিরার লক ভাঙা কোন স্বর্নলংকার নেই। এই রকম সকল পরিবারের একই অবস্থা। তারা আরো বলেন, দশমিনা থানা পুলিশের আগের মতো টহল না থাকায় প্রতিদিনই কোন না কোন ঘটনার সৃস্টি হচ্ছে। যার ভুক্তভোগী হলাম আমরা ২২ পরিবার। আমরা আইনের আশ্রয় নিবো।
ভূক্তভোগী বকুল চন্দ্র হাওলাদার বলেন, আমাদের মাতুয়া সম্প্রদায় ও কৃষ্ণ ভক্তরের মধ্যে কিছুদিন আগে মন্দির দখল নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কৃষ্ণভক্তের একজন মারা যায়। ঐ মামলায় মতুয়া সম্প্রদায়ের পরিবারে পুরুষ শুন্য দীর্ঘদিন। তাই এই সুযোগে বড় একটি চক্র চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের বিরোধকে কাজে লাগিয়ে তৃতীয় কোন পক্ষ এই কাজ করেছে। এরা খুবই শক্তিশালী তা না হলে একই রাতে ২২ ঘর চুরির ঘটনা দশমিনা উপজেলা সৃষ্টির ইতিহারে প্রথম হয়েছে। দশমিনা উপজেলা প্রশাসনের কাছে আমরা এর নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচার দাবি করছি। কৃষ্ণভক্তের স্বপন জানান, এটি একটি চক্রের কর্মপরিকল্পনা। তা না হলে এক সাথে এমন ঘটনার উদ্ভব হবার না। দশমিনা থানা পুলিশ নিরব থাকায় দৈনিক কোন না কোন ঘটনার স্বীকার হচ্ছে অত্র গ্রামের সাধারণ মানুষ।
রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর ০৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অসিম সমাদ্দার বলেন, গত দেড় মাস আগে একই গ্রামের মতুয়া সম্প্রদায় ও কৃষ্ণভক্তদের মধ্যদের মধ্যে সাংঘর্ষ হয়। ঐ ঘটনায় কৃষ্ণভক্তদের একজন মারা যায়। এতে মামলা হওয়ায় মতুয়া সম্প্রদায়ের বাড়িতে পুরুষ শুন্য থাকায় এই সুযোগে চুরির ঘটনা ঘটেছে। সকালে ঘটনার বিষয় জেনে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে ভুক্তভোগীদের কথা শুনে চেয়ারম্যানকে জানাই। এই চুরির ঘটনা কোন ছোট বিষয় না। এর সাথে স্থানীয় ও অন্য উপজেলার লোক জড়িত আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা না থাকায় এত বড় চুরির ঘটনা ঘটেছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আবদুল আলীম জানান, ঘটনার বিষয় আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
© সংযোগ প্রতিদিন
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট